মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমতের গল্প

একদিন হজরত জিব্রাইল (আ.) এক ইবাদতগুজার ব্যক্তির গল্প শোনান নবীজি (সা.)-কে: 

'একজন ইবাদাতকারী সমুদ্রের মাঝে এক পাহাড়ের চূড়ায় পাঁচশ বছর ইবাদাত করেছে। অতঃপর সে তার রবের কাছে এই প্রার্থনা করেছে, তিনি যেন তাকে সাজদারত অবস্থায় দুনিয়া থেকে তুলে নেন।

জিব্রাইল (আ.) বলেন, ‘আমরা (দুনিয়াতে) গমনাগমনের সময় তার পাশ দিয়েই অতিক্রম করতাম। আমরা ‘ইলম’ (তথা লাওহে মাহফূয)-এ পেলাম, কিয়ামাতের দিন তাকে আল্লাহ তাআলার সামনে দাঁড় করানো হলে, আল্লাহ তাআলা বলবেন, “তোমরা আমার এই বান্দাকে আমার রহমতের বদৌলতে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দাও।” 

তখন বান্দা বলে উঠবে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমার আমলের বদৌলতে।’ সে তিনবার এমনটি করবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের বলবেন, ‘আমার এই বান্দার প্রতি আমার দেওয়া নিয়ামাত এবং তার আমলের মাঝে তুলনা করে দেখো।’ 

তখন তারা অবস্থা এমন পাবে যে, শুধুমাত্র চোখের নিয়ামাতই তার পাঁচশ বছরের ইবাদাতকে বেষ্টন করে নিয়েছে। আর তার দেহের অন্যসব নিয়ামাতের বিনিময় শূন্যই রয়ে গিয়েছে। 

তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘আমার এই বান্দাকে জাহান্নামে ঢুকাও।’ তখন তাকে টেনেহেঁচড়ে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে আর সে চিৎকার করে বলতে থাকবে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আপনার রহমতের বদৌলতেই আপনি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করান।’

অবশেষে তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। জিব্রাইল (আলাইহিস সালাম) বলেন, “হে মুহাম্মাদ, যাবতীয় বিষয় আল্লাহর রহমতের বদৌলতেই সম্পাদিত হয়।’’ [ হাকিম, আল-মুস্‌তাদরাক, ৭৬৩৭]

- ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি (রহ.)-এর 'নিজেকে এগিয়ে নিন' বই থেকে।